Hoop Food

ভাতের সঙ্গে খাওয়ার জন্য পটল ইলিশ বানানোর রেসিপি

পটল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী। তারপরে এটা দিয়ে যদি ইলিশ মাছের সঙ্গে রান্না করা যায়, তাহলে তো সেটা একেবারে জমে যাবে। বাড়ির সমস্ত যে সদস্যরা সবজি খেতে চাননা, তাদেরকে অবশ্যই এই রেসিপিটি করে খাওয়াতে পারেন। ইলিশ মাছের সাথে সাথে পটলের মতন উপকারী সবজি ও তাদের শরীরে প্রবেশ করবে। পটল হজমে সাহায্য করে এর সবুজ রঙের সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। যারা বদহজমের সমস্যায় ভুগছেন বা যারা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন তারা অবশ্যই পটল খান।

ওজন কমাতে সাহায্য করে পটল প্রতিদিন রাতে শুতে যাওয়ার সময় পটলের সুপ খেলে শরীরে অনেক বেশি পুষ্টি যায়। কিন্তু কম খাবারেই আপনাকে রোগা করতে সাহায্য করবে পটল। রক্তকে পরিশোধিত করে পটল। কোলেস্টেরল এবং যাদের ব্লাড সুগার আছে তারা অবশ্যই পটল খান। কিন্তু পটল খাবার সময় কখনই পটলের বীজ ফেলে দেবেননা বীজসুদ্ধ পটল খেতে হবে। আয়ুর্বেদিক মতে, ঠান্ডা, জ্বর, গলা ব্যথায় অসাধারণ ওষুধ হিসেবে কাজ করে পটল। পটলের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। সহজে বয়সের ছাপ ফেলতে দেয়না পটল। নেপালে কোন মানুষ অসুস্থ হলেই, অসুস্থ রোগীর সেবার জন্য পটলের খাওয়ানো হয়।

উপকরণ -»
পটল ৫০০ গ্রাম
ছোট আকারের একটি ইলিশ মাছ
গোটা জিরে ১ চা চামচ
একটা পিঁয়াজ কুচি করা
জিরে গুঁড়ো ১ চা চামচ
নুন মিষ্টি স্বাদ মত
সরষের তেল ১ কাপ
হলুদ গুঁড়ো এক চা চামচ
চিরে রাখা কাঁচা লঙ্কা

প্রণালী -»
ইলিশ মাছ গুলোকে ভালো করে কেটে ধুয়ে হলুদ, লংকা এবং নুন মাখিয়ে রাখতে হবে। কড়াইতে সরষের তেল দিয়ে তাতে মাছগুলি হালকা ভেজে তুলে রাখতে হবে। এরপর পটল গুলিও সামান্য ভেজে তুলে রাখতে হবে। এরপর আরো সামান্য সরষের তেল দিয়ে গোটা জিরে, পেঁয়াজ কুচি, জিরে গুঁড়ো, সামান্য হলুদ, নুন, মিষ্টি স্বাদ মত দিয়ে। উষ্ণ গরম জল দিয়ে ভেজে রাখা পটল গুলি দিয়ে দিতে হবে। এরপর কিছুক্ষন পরে ভেজে রাখা মাছগুলি দিয়ে অন্তত ১৫ মিনিটের জন্য ঢাকা দিয়ে রাখতে হবে। ঢাকা খুলে চিরে রাখা কাঁচালঙ্কা দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন পটল ইলিশ।

Related Articles