রেশন দুর্নীতি নিয়ে বর্তমানে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। রেশন দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই নাম জড়িয়ে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তবে এবার টলিউডের খ্যাতনামা অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের (Rituparna Sengupta) নাম রেশন দুর্নীতিতে জড়াতেই বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে। দুবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তলব পেয়েছেন ঋতুপর্ণা। তার মধ্যে দ্বিতীয় বার ইডি আধিকারিকদের সম্মুখীন হন তিনি। জিজ্ঞাসাবাদের পর এবার সম্প্রতি ৭০ লক্ষ টাকা ফেরত দিতে চেয়েছেন ঋতুপর্ণা।
ঋতুপর্ণার স্বীকারোক্তি
ইডি সূত্রে খবর, ঋতুপর্ণা জানিয়েছেন, সিনেমায় অভিনয় করার পারিশ্রমিক বাবদ তিনি ওই টাকাটা নিয়েছিলেন। ওটা যে রেশন দুর্নীতির টাকা সেটা তিনি জানতেন না। তাই এবার টাকা ফেরত দিতে চেয়েছেন ঋতুপর্ণা। রেশন দুর্নীতি মামলায় ঋতুপর্ণার নাম জড়ানোর পরেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছিল তাঁকে। এই মামলায় গ্রেফতার হওয়া এক অভিযুক্তের সঙ্গে ঋতুপর্ণার আর্থিক লেনদেনের তথ্যপ্রমাণ উঠে এসেছিল ইডির হাতে। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছিল, একটি সংস্থার সঙ্গে প্রায় কোটি টাকার আর্থিক লেনদেন হয়েছিল রেশন মামলায় গ্রেফতার হওয়া ওই অভিযুক্তের, যে সংস্থার প্রোপাইটার হিসেবে নাম রয়েছে ঋতুপর্ণার।
ইডির দফতরে হাজিরা ঋতুপর্ণার
এরপরেই তাঁকে ডেকে পাঠানো হয় ইডির তরফে। প্রথমে ৫ ই জুন ঋতুপর্ণাকে ডেকে পাঠানো হলেও হাজিরা এড়িয়ে যান তিনি। বিদেশে থাকার কারণে ইডি আধিকারিকদের সামনে উপস্থিত হতে পারেননি বলে ইমেল মারফত সংস্থাকে জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী। তারপর ফের ১৯ জুন তাঁকে ডেকে পাঠানো হলে অবশ্য আধিকারিকদের সামনে উপস্থিত হন ঋতুপর্ণা।
জেরা শেষে ঋতুপর্ণার মন্তব্য
এর আগে ইডির তরফে বলা হয়েছিল, জেরায় নাকি ঋতুপর্ণা জানিয়েছিলেন ২০১৩ সালে তাঁর সংস্থায় ৬০ লক্ষ টাকা ব্যাঙ্ক ট্রান্সফার করা হয়েছিল। কিন্তু ২০১৫ সালে ফের ২০ লক্ষ টাকা ফেরতও দিয়ে দেন তিনি। এই সংক্রান্ত নথিও নাকি জমা দিয়েছিলেন ঋতুপর্ণা। টানা ৫ ঘন্টার জিজ্ঞাসাবাদের পর সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে সেদিন অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, রেশন দুর্নীতির সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পর্ক নেই। তাঁর সহযোগিতায় ইডি আধিকারিকরা খুশি।