চলতি বছরের গত জুন মাসের ১৪ তারিখেই মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় নিজের ফ্ল্যাটে অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুত আত্মঘাতী হন। তাঁর বাড়ি থেকেই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। আজ অক্টোবরে চার মাস হয়ে গেল অভিনেতা আর নেই। তাঁর মৃত্যু তদন্ত নিয়ে এখন এক নতুন সিনেমার সাথে তুলনা করা হয়। এই মৃত্যুর জোট খুলতে গিয়েও খুলছেনা। এই তদন্তকে ঘিরে সামনে এসেছে অনেক না জানা তথ্য। বলিউডে নাকি আছে নেপোটিজম, ফেভারিটজম। তারপর বলিউডের তাবড় তাবড় অভিনেতা অভিনেত্রী ওরফে স্টারকিডদের একঘরে করতে শুরু করেন সুশান্ত প্রেমী অনুরাগীরা।
এই প্রতিভাশালী তারকাকে বলি হতে হয়েছে নেপোটিজমের হাতে। তবে এটি মৃত্যু না খুন তার রহস্য সমাধানে দিন রাত এক করে দিচ্ছে সিবিআই, এনসিবি ও ইডি৷ তবে তদন্তকারী সংস্থারা এখনও কোনও সমাধানসূত্র খুঁজে পায়নি৷ অন্যদিকে সুশান্তের ফ্যানরা আজও দিন-রাত তাঁর কথাই ভেবে চলেছেন৷ পরিবার আজ একবার তাঁকে মনে করে এক না দেখা ভিডিয়ো সোশ্যাল হ্যান্ডেলে পোস্ট করেই থাকেন সুশান্তের দিদি,পরিবার,বন্ধু ও অনুরাগীরা। অভিনেতা নেই সাড়ে পাঁচ মাস হতে চললো তবু এখনো তাকে কেউ ভুলতে পারেননি।
এরই মধ্যে এরইমধ্যে সুশান্তের বন্ধু সিদ্ধার্থ গুপ্তা কিছু তথ্য প্রকাশ্যে আনলেন একটি সাক্ষাৎকারে। সিদ্ধার্থ জানিয়েছেন, সুশান্ত সবসময় নতুন ভাবনা চিন্তা নিয়ে কাজ করতে খুব ভালোবাসতেন আর মন খোলা একজন মানুষ ছিলেন। একটা সময় যখন দুজনেই স্ট্রাগেল করছিল সেই সময় সুশান্তের সঙ্গে একসময় একই রুমে ভাড়া নিয়ে থাকতেন সিদ্ধার্থ। কাজে সফল হতে কিভাবে জীবনের ঝুঁকি নিতে হয় তা তাকে শিখিয়েছিলেন প্রয়াত অভিনেতা। সিদ্ধার্থ আরো জানান, তিনি প্রয়াত অভিনেতার সান্নিধ্য পেয়ে নিজেকে খুবই ভাগ্যবান মনে করেন। সুশান্ত এমন এক ধরনের মানুষ যার সম্পর্কে ভেবে সারা জীবন কাটানো যায়। সুশান্ত মানুষকে এত ভালবাসতেন অনেক সময় তা দেখে সিদ্ধার্থের সন্দেহ জাগত।
এছাড়া তিনি দুঃখ করে বলেন, সুশান্তের ফোন নম্বর অভিনেতার কাছে ছিল না ফলে কোনো যোগাযোগ ছিল না। সুশান্তের মৃত্যুর কয়েকদিন আগে তাঁদের আরো এক বন্ধু কুশল তা পেয়েছিল। তিনি কুশলকে বলেছিলেন নিশ্চয়ই বন্ধু সুশান্ত কোনও সমস্যায় হয়েছে। কুশলের মাধ্যমেই তিনি জানান, তারা দুজনে খুব তাড়াতাড়ি দেখা করবেন। আগে যেভাবে তারা একসাথে দিন কাটাতেন তেমনভাবেই কাটাবে। ওঁর ব্যক্তিগত জীবনে ঢোকার কোনও উদ্দেশ্য তাঁদের কাছে ছিল না। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল ওঁর সমস্যা জানা এবং তা সমাধান করা। আক্ষেপ করে সিদ্ধার্থ বলেন, এখন আর কিছুই করা যাবেনা। আর যদি পরিবর্তন করা যেতো তাহলে এসব হতনা। আরো একটা কথা জানান, শেষবার যখন সুশান্তের বাড়ি থেকে অভিনেতা চলে আসেন তখন ও সুনান্ত জানিয়েছিলেন,এরপর তাঁদের অনেক উপরে দেখা হবে। আর এখন এটাই ধ্রুবসত্যি। মৃত্যু ছাড়া অভিনেতার সাথে দেখা করা সম্ভব নয়।