বর্ষাকালের পর শুরু হওয়ার কথা ছিল শুভ্রজিৎ মিত্র (Subhrajit Mitra) পরিচালিত প্যান ইন্ডিয়ান ফিল্ম ‘দেবী চৌধুরানী’-র শুটিং। এই ফিল্মে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করছেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় (Srabanti Chatterjee)। ভবানী পাঠকের চরিত্রে দেখা যাবে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee)-কে। বর্ষাকাল শেষ হয়ে গেলেও প্রায়ই বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ফলে এখনও শুটিং শুরু করা যায়নি। এই প্রসঙ্গে শুভ্রজিৎ জানালেন, লোকেশন রেকি করতে গিয়ে তাঁর অভিজ্ঞতার কথা। শুভ্রজিৎ-এর মতে, ‘দেবী চৌধুরানী’-র সময়কালে বাংলার দৃশ্য ছিল ভিন্ন। কিন্তু বর্তমানে তিস্তা নদী সরে গিয়েছে। পাশাপাশি অধিকাংশ বন-জঙ্গল ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।
আড়াইশো বছর পূর্বের বাংলার সাথে বর্তমান বাংলার বিস্তর ফারাক। তবে তার মধ্যেও লোকেশনের জন্য পুরুলিয়া, বীরভূম, ঝাড়খণ্ডের বিস্তীর্ণ অঞ্চলকে বেছে নিয়েছেন শুভ্রজিৎ। তিনি জানালেন, স্থানগুলিতে পৌঁছাতে যথেষ্ট প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। অধিকাংশ স্থানে পৌঁছানোর জন্য গাড়ির অনুকূল রাস্তা না থাকার ফলে পরিচালক ও তাঁর টিম পায়ে হেঁটেই পৌঁছে গিয়েছেন। উপরন্তু মানুষের রোপণ করা জঙ্গলের পরিবর্তে শুভ্রজিৎ-এর প্রয়োজন পুরানো জঙ্গলের। ফলে যথেষ্ট কষ্ট করেই সেখানে পৌঁছাতে হয়েছে তাঁকে।
View this post on Instagram
শুভ্রজিৎ জানালেন, অধিকাংশ স্থান বিপদসঙ্কুল । রয়েছে কেউটে, গোখরোর মতো বিষধর সাপ। যথেষ্ট সাবধানে পা ফেলে চলাফেরা করেছেন পরিচালক ও তাঁর টিম। সাপের ছোবলের ভয়ে সানগ্লাস খুলছিলেন না তাঁরা। তবে স্থান পাকা করে আলাদা ভাবে জঙ্গলের মধ্য দিয়ে পায়ে চলার পথ বের করার কাজ শুরু করে তবেই শুটিংয়ের দিনক্ষণ স্থির করবেন শুভ্রজিৎ। কারণ তিনি নিজে সাপের এলাকায় গেলেও, কাঁটাঝাড় পার করলেও শিল্পীদের বিপদের মধ্যে ফেলতে চান না পরিচালক। শুটিংয়ের অনুকূল করে কাজ শুরু করার পাশাপাশি টিমের সাথে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, অ্যাম্বুল্যান্স ও অ্যান্টি-ভেনোমের ব্যবস্থা রাখা হবে বলে জানিয়েছেন শুভ্রজিৎ।
মাথায় বাজেটের কথা রাখলেও জাতীয় পুরস্কার শুভ্রজিৎ-এর ক্ষিদে বাড়িয়েছে। অপরদিকে কলকাতার বুকে চলছে শিল্পীদের প্রশিক্ষণ। ফিটনেস বাড়াতে হচ্ছে শ্রাবন্তীকে। ধীরে ধীরে তিনি হয়ে উঠছেন ‘দেবী চৌধুরানী’।
View this post on Instagram