দেবের অন্ধভক্ত! রুবির কাছে অভিনেতার নামে আস্ত চায়ের দোকান খুলে ফেললেন অনুরাগী
অনুরাগীরা আছেন বলেই তারকাদের অস্তিত্ব রয়েছে। দর্শক একজন শিল্পীকে তারকা বানিয়ে তোলেন। বহু আগে থেকেই চলে আসছে এই প্রথা। যাদবপুর 8বি বাসস্ট্যান্ডে রয়েছে ‘চা ও নচিকেতা’ নামে একটি দোকান যা নচিকেতার চায়ের দোকান হিসাবেও বিখ্যাত। জানা যায়, একসময় জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী নচিকেতা (Nachiketa) এই দোকানে চা খেতেন। এমনকি মেদিনীপুরের একটি গ্রামে রয়েছে চপের দোকান যেখানে কোনো একসময় মহানায়ক উত্তম কুমার (Uttam Kumar) চপ খেয়ে প্রশংসা করেছিলেন। আজও সেই দোকানে একটি ফ্রেমে বাঁধানো রয়েছে উত্তম কুমারের দেওয়া অটোগ্রাফওয়ালা একটি ছবি। এবার দেব (Dev)-এর নামে খুলল চায়ের দোকান।
অভিষিক্তার অনতিদূরেই দেবের ভক্ত অর্ণব গুহ (Arnab Guha) দেবের নামে চায়ের দোকান খুললেন যার নাম ‘দেব অ্যান্ড টি’। পেশায় ফটোগ্রাফার অর্ণবের এই ছোট্ট চায়ের দোকানটি সাজানো হয়েছে দেবের বড় কাটআউট দিয়ে। নেটদুনিয়ায় ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে ‘দেব অ্যান্ড টি’-র ছবি। অনেকের ‘আড্ডা জোন’ হয়ে উঠেছে এই দোকানটি। টিনএজার-দের কাছে তো এটি একটি অসাধারণ আড্ডার ঠেক। এছাড়াও ‘দেব অ্যান্ড টি’-র মেনুও হয়ে উঠেছে নজরকাড়া।
সাধারণতঃ চায়ের দোকানগুলি সীমাবদ্ধ থাকে লেবু চা, দুধ চা, লাল চায়ের মধ্যেই। অনেকে আবার শীতকালে চায়ের মধ্যেই মিশিয়ে দেন একটু কফি। কিন্তু এই ক্ষেত্রেই নজর কেড়েছে ‘দেব অ্যান্ড টি’। তালিকায় রয়েছে কুড়ি টাকা দামের তন্দুরী চা ও মালাই চা, পঁচিশ টাকা দামের কেশরী চা, পনের টাকা দামের ইলাইচি চা প্রভৃতি। এছাড়াও বাঙালির চিরন্তন লাল চা তো রয়েছেই।
কিন্তু দেব ও নচিকেতা দুজনের নামেই চায়ের দোকান কেন, এই প্রশ্ন উঠতেই পারে। প্রকৃতপক্ষে, বাঙালি আজ যতই বারিস্তা, কাফে কফি ডে, স্টারবাকস-এ ভিড় জমান না কেন, তাঁরা আদতে কিন্তু চা-প্রেমী। আজও বিকাল পাঁচটা বাজতে না বাজতেই পাড়ার চায়ের দোকানগুলিতে ভিড় হতে শুরু করে। লাল চা সহযোগে জমে ওঠে আড্ডা। সত্যজিৎ রায় (Satyajit Ray)-এর এক আত্মীয় তো রীতিমত চা-বিশারদ ছিলেন। তাঁর একটি বাঁধানো খাতা ছিল যাতে তিনি বিভিন্ন জায়গায় চা পান করার পর সেই চায়ের স্বাদ, গন্ধ, বর্ণ সম্পর্কে লিখে রাখতেন। সত্যজিৎ রায়ের অটোবায়োগ্রাফি ‘যখন ছোট ছিলাম’-এ এই ঘটনার উল্লেখ পাওয়া যায়।