whatsapp channel

Lifestyle: প্রতিদিন আলু খেয়েও যেভাবে সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখবেন

মধুমেহ বা ডায়াবেটিস এর শিকার একবার হলে জীবন থেকে প্রায় বাদ যায় পছন্দের আলু। শুধু আলু নয়, বাদ যায় সমস্ত রকম মিষ্টি ও শর্করা জাতীয় খাবার।এহেন, আলু নিয়ে যত গোল…

Avatar

Advertisements
Advertisements

মধুমেহ বা ডায়াবেটিস এর শিকার একবার হলে জীবন থেকে প্রায় বাদ যায় পছন্দের আলু। শুধু আলু নয়, বাদ যায় সমস্ত রকম মিষ্টি ও শর্করা জাতীয় খাবার।এহেন, আলু নিয়ে যত গোল বাঁধে খাবার টেবিলে। মাংসে আলু, বিরিয়ানির আলু, গরম ভাতে আলু সেদ্ধ, আলুর চপ, পরোটা, আলু কাবলি সবই বাদের খাতায় চলে যায়। হয় মন খারাপ।কিন্তু, নাহ্ আর মন খারাপ নয়। ডায়াবেটিস নিয়েও মজা করে আলু খেতে পারবেন। আজকের প্রতিবেদন হল তাদের জন্য, যারা দীর্ঘদিন ধরে আলু খাবো খাবো করেও ভয়ে খেতে পারছেন না।

Advertisements

একটি ছোট আলুতে প্রায় ৩০ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে এবং একটি বড় আলুতে প্রায় ৬৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে। তবে, আলু যেভাবে রান্না করা হয় তার উপর নির্ভর করে সংখ্যাটি পরিবর্তিত হয়। যেমন – কাঁচা আলুতে কার্বোহাইড্রেট থাকে ১২ গ্রাম, সিদ্ধ: ১৫ গ্রাম, ছাকা তেলে ভাজা : ৩৭ গ্রাম।

Advertisements

ঘটনা হল – যখন আমরা কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার খাই, তখন আমাদের শরীর এটিকে গ্লুকোজ নামক একটি সাধারণ চিনিতে রূপান্তরিত করে। গ্লুকোজের অণুগুলি তখন আমাদের রক্তে প্রবেশ করে এবং আমাদের রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এই ব্যাপারে আরো জানা দরকার যে একজন সুস্থ ব্যক্তি পর্যাপ্ত পরিমাণে ইনসুলিন তৈরি করে, এবং এই হরমোন যা গ্লুকোজকে কোষে প্রবেশ করতে দেয় এবং শক্তি হিসাবে গ্রহণ করে। যেহেতু ডায়াবেটিস রোগীরা বেশি ইনসুলিন তৈরি করে না, তাই গ্লুকোজের অণু কোষে প্রবেশ করতে ব্যর্থ হয় এবং রক্তে থেকে যায়, যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়।

Advertisements

সুতরাং, আলু খাওয়া যেতেই পারে তবে পরিমাণে খুবই কম। যাদের ডায়াবেটিস আছে তারা গোটা দিনে যদি অর্ধেক আলু খান তাতে কিছু সমস্যা হবে না। কারণ এও জানতে হবে যে আলুতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য পূর্ণ রাখে।

Advertisements
whatsapp logo
Advertisements