সামনে শীতকাল আসছে আমরা প্রচুর পরিমাণে কমলা লেবু বাজারে দেখতে পাব। কমলালেবু খাব কিন্তু কমলালেবুর খোসা ফেলে দেব না। কমলালেবুর খোসাকে ব্যবহার করা যায় নানাভাবে। শুধু তাই নয়, পাতিলেবু, মুসাম্বি, লেবুর খোসাকে আমরা খুব ভালো করেই আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কাজে লাগাতে পারি।
বাসন দেওয়া থেকে শুরু করে সোনার যেকোনো কাজে খুব সহজে ব্যবহার করা যেতে পারে যে কোন লেবুর খোসা লেবুর মধ্যে থাকে অ্যাসিডিক উপাদান। যা কিন্তু সহজেই বাসন পরিষ্কার করতে এছাড়া ঘরের মধ্যে একটা সুন্দর গন্ধ তৈরি করতে ঘরের মধ্যেকার জীবাণুকে দূর করতে এছাড়াও নানা কাজে লাগে। তাই আর দেরি না করে চটপট দেখে নিন কিভাবে লেবুর খোসাকে আপনি আপনার প্রাত্যহিক জীবনে ব্যবহার করবেন।
১) কমলালেবুর খোসা – কমলালেবুর খোসাকে জলের মধ্যে বেশ খানিকক্ষণ ফোটাতে হবে। বেশ অনেক্ষণ ধরে ফোটানোর পর এরইমধ্যে বেশ কয়েকটা লবঙ্গ, তেজপাতা দিয়ে দিন। ওগুলোকে নিয়েও বেশ খানিকক্ষণ ফোটাতে হবে। ছেঁকে নিয়ে এর পরে কোন স্প্রে বোতলে করে যদি এই জল চারিদিকে স্প্রে করতে পারেন, তাহলে দেখবেন খুব সুন্দর রুম ফ্রেশনার তৈরি হয়ে যাবে।
২) পাতিলেবুর খোসা – পাতি লেবুর খোসাকে যদি সহজে ফেলে না দিয়ে এই খোসার শুকিয়ে নিয়ে যদি একটু গুঁড়ো করে রাখতে পারেন। তাহলে কিন্তু এই খোসা আপনার অনেক কাজে লাগবে। দাঁত মাজার সময় টুথপেস্টের সঙ্গে একটু যদি মিশিয়ে ভালো করে মাজতে পারেন তাহলে দেখবেন আপনার দাঁত কত সাদা ঝকঝকে হয়ে গেছে।
৩) কমলালেবু, পাতিলেবুর খোসা এবং ভিনিগার- এই তিনটি উপকরণকে খুব ভালো করে একসঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে খোসা গুলিকে ইচ্ছা করলে একটু শুকিয়ে গুঁড়ো করেও নিতে পারেন, ভিনিগারের মধ্যে ডুবে তার মধ্যে প্রয়োজন মতন একটু ডিস ওয়াশ দেবেন, এটি কিন্তু খুব ভালো পরিষ্কার করতে সাহায্য করে বাসনপত্র থেকে শুরু করে সবকিছু একেবারে পরিষ্কার ঝকঝকে করে দেবে।
