Hair Care: পকেটে আর পড়বে না টান, এই পাতার গুণেই চুল হবে ঝলমলে-মজবুত
সতেজ এবং সুন্দর চুল (Hair Care) কে না চায়? এক ঢাল কোমর ছাপানো চুলের প্রেমে পড়েন সকলেই। বা চুলের দৈর্ঘ্য ছোট হলেও যেন তা সতেজ, সিল্কি হয় এমনটাই কামনা হয় সকলের। চুল ছোট হোক বা বড়, রুক্ষ শুষ্ক হলে মোটেই তা দেখতে সুন্দর লাগে না। বাহারি পোশাক পরে, খুব সুন্দর করে সাজলেও যদি চুল ঠিক না থাকে তাহলে সাজটাই নষ্ট হয়ে যায়। এ জন্য চুলের পেছনে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ করতেও পিছপা হন না অনেকেই।
চুলের যত্নে দামি শ্যাম্পু, হেয়ার মাস্ক, সিরাম ইত্যাদি ব্যবহার করে থাকেন অনেকেই। এছাড়া মাসে মাসে স্পা সহ নানান ট্রিটমেন্ট তো রয়েছেই। এসবের জন্য কার্যত জলের মতো টাকা খরচ হয়, যা অনেকের কাছেই যথেষ্ট চিন্তার বিষয়। কিন্তু যদি বলি, এত টাকা খরচ হবেই না। কিছু প্রাকৃতিক জিনিসেই হবে কামাল! আমাদের আশেপাশেই রয়েছে এমন অনেক গাছ যেগুলি চুলের যত্নে ম্যাজিকের মতো কাজ করে। বিনা টাকা খরচ করেই কিছু প্রাকৃতিক টোটকায় চুল যেমন হবে মজবুত, তেমনি সবে রেশমের মতো সিল্কি, জেল্লাদার। সেই সব গাছের নাম এবং টোটকা জানতে পুরোটা পড়ুন প্রতিবেদনটি।
জবা গাছ, কারি পাতা, কেশুতি পাতা, ভৃঙ্গরাজ এর মতো গাছগুলি চুলের স্বাস্থ্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গ্রাম বাংলায় সর্বত্র পাওয়া যায় এই সব গাছগুলি। অনাদরে পড়ে থাকা গাছগুলির ভেষজ গুণ সম্পর্কে জানলে অবাক হয়ে যাবেন। চিকিৎসকরাও এই গাছগুলির গুণ সম্পর্কে বলে থাকেন। ভৃঙ্গরাজ পাতার রস চুলের গোড়ায় লাগালে চুলের গোড়া শক্ত হয় এবং চুল কালো রাখতেও সাহায্য করে।
ভৃঙ্গরাজ এবং কেশুতি পাতা ছায়ায় শুকিয়ে গুঁড়ো করে নারকেল তেলের মিশিয়ে কয়েকদিন রেখে দিতে হবে। তারপর ছেঁকে সেই তেল চুলে মাখলে চুল হবে সতেজ, চুল পড়াও কমবে। সময়ের আগে চুল সাদা হয়ে যাওয়ার সমস্যা দূর হয় এই পাতার গুণে। চুলের স্বাস্থ্য ফেরাতে এই পাতাগুলি ব্যবহার করাই যেতে পারে।
সতর্কীকরণ- উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কোনোরকম সমস্যা এড়াতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।