করোনা পরিস্থিতির তৃতীয় ঢেউ সমগ্র পৃথিবীতে ক্রমশ ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। যুক্ত হয়েছে ওমিক্রনের আশঙ্কাও। সব মিলিয়ে সাধারণ মানুষ ও প্রশাসন বিপর্যস্ত। ফলে মহারাষ্ট্র ও দিল্লি জুড়ে কার্যতঃ আংশিক লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। একই পথে হেঁটেছে পশ্চিমবঙ্গ। ফলে সোমবার থেকে আংশিক লকডাউন চলছে পশ্চিমবঙ্গে। একই সঙ্গে বিনোদন জগতের উপর জারি হয়েছে প্রচুর বিধিনিষেধ। ফলে আবারও সমস্যায় পড়েছেন টলিউডের কলাকূশলীরা।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে জারি হওয়া একগুচ্ছ বিধিনিষেধের মধ্যে বলা হয়েছে, রাত দশটার পর বন্ধ থাকবে শপিং মল। সন্ধ্যা সাতটার পর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে লোকাল ট্রেন চলাচল। কমিয়ে দেওয়া হয়েছে লোকাল ট্রেনের সংখ্যাও। পঞ্চাশ শতাংশ দর্শক নিয়ে খোলা রাত দশটা অবধি খোলা থাকবে সিনেমা হল। বন্ধ থাকবে সুইমিং পুল, স্পা, জিম, ওয়েলনেস সেন্টার, বিউটি পার্লার। ফলে কলাকূশলীদের একাংশ সমস্যার সম্মুখীন। টলিউডের পরিচিত মেকআপ আর্টিস্ট বীথিকা বেনিয়া (Bithika Bania)-র মনে হচ্ছে, আবারও দুই বছর আগের সেই সময়ে ফিরে গিয়েছেন। সবসময়ই চিন্তা গ্রাস করছে তাঁদের। এই মুহূর্তে পঞ্চাশ শতাংশ দর্শক নিয়ে রাত দশটা পর্যন্ত সিনেমা হল চললেও করোনা পরিস্থিতির অবনতির ফলে যদি সিনেমা হল ও শুটিং বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলে কি পরিস্থিতি হতে পারে, তা ভেবে আঁতকে উঠছেন বীথিকা।
চিন্তার ভাঁজ সাউন্ড রেকর্ডিস্ট আদিত্য স্যান্যাল (Aditya Shanyal)-এর কপালেও। তাঁদের ‘নো ওয়ার্ক নো পে’। তাঁর পরিবারের সদস্যরা তাঁর আয়ের উপর নির্ভরশীল। গত দুই বছর সংসার চালাতে হিমসিম খেয়েছেন তিনি। আবারও যদি সেই পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি ঘটে, তাহলে সামাল দেবেন কি করে, তা জানেন না তিনি। লাইট ম্যান অয়ন সাঁপুই (Ayan Sapui) বহুদিন ধরেই ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত। তাঁরা সকলে মাস্ক পরে, স্যানিটাইজার ব্যবহার করে কাজ করলেও কিছু মানুষের অবহেলার জন্য আবারও এক অনিশ্চয়তার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছেন।
সহকারী পরিচালক অদিতি স্যান্যাল (Aditi Shanyal)-এর পরিস্থিতি তুলনামূলক ভাবে ভালো হলেও তিনি মনে করেন, শুটিং একটি টিমওয়ার্ক। ফলে তাঁর সহকর্মীরা কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারেন ভেবে খারাপ লাগছে। তবে কাজ কমে গেলে পরিস্থিতি আরও সঙ্গীন হয়ে যেতে পারে বলে মত অদিতির।
করোনার চেন ভাঙার জন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। ‘হুপহাপ’ (HOOPHAAP)-এর তরফ থেকে পাঠককুলকে অনুরোধ করা হচ্ছে, মাস্ক পরুন, স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। অযথা কোনো স্থানে ভিড় করবেন না। সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রাখুন। সুস্থ থাকুন, সুস্থ রাখুন।