Hoop PlusTollywood

Tota Roychowdhury: বলিউডে কাজ করলে কম টাকা পান বাঙালি শিল্পীরা! সত্যিটা জানালেন টোটা রায়চৌধুরী

ক্রমশ টলিউড নিয়ে অভিযোগ করতে শুরু করেছেন অভিনেতা-অভিনেত্রীদের একাংশ। কয়েক দিন আগে প্রসেনজিৎ (Prosenjit Chatterjee)-এর বিরুদ্ধে রীতিমত তোপ দেগেছিলেন প্রযোজক রাণা সরকার (Rana Sarkar)। এবার টোটা রায়চৌধুরী (Tota Roychowdhury) বললেন, টলিউডের মানুষরা কর্কট রাশির।

‘শ্রীময়ী’ শেষ হয়ে গেলেও টোটা এখনও অবধি ঘরে ঘরে ‘রোহিত সেন’ নামেই পরিচিত। কিন্তু তিনি ‘শ্রীময়ী’-র শুটিং শেষ করেই তিনি ময়দানে নেমে পড়েছিলেন আরবান কম্যান্ডো ট্রেনিং নিতে। নিজেই সেই ছবি শেয়ার করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তার সাথেই রীতিমত ওয়ার্কআউট করে বাড়তি ওজন ঝরিয়ে ফেলেছেন টোটা। সম্প্রতি নিজের একটি শার্টলেস ছবি শেয়ার করেছিলেন তিনি। ইতিমধ্যেই তিনি শেষ করেছেন সৃজিত মুখার্জী (Srijit Mukherjee) পরিচালিত ফেলুদা সিরিজের কাজ। সব ঠিকঠাক থাকলে খুব শীঘ্রই তাঁকে দেখা যাবে মুম্বইয়ের ওয়েব সিরিজেও।

‘কহানী 2’-এর মাধ্যমে বলিউডে ডেবিউ করেছিলেন টোটা। তবে তুলনামূলক ভাবে তাঁর হাতে কাজের সংখ্যা কম। কিন্তু মুম্বইয়ে কাজ করার জন্য তাঁকে প্রচুর কথা শুনতে হয়েছে টলিউডে। তাঁকে বলা হয়েছে, বলিউডের অভিনেতাদের তুলনায় তিনি কম অর্থ নেন বলেই তাঁকে বাছাই করা হয়েছে। একসময় টোটা বলতে বাধ্য হয়েছেন, টালিগঞ্জের অধিকাংশ মানুষ কর্কট রাশির। তাই তাঁরা কাঁকড়াবিছের মতো ব্যবহার করেন। টোটা জানিয়েছেন, বলিউডে তাঁরা জাতীয় স্তরের অভিনেতাদের মতোই পারিশ্রমিক পান। কলকাতার শিল্পীদের নিয়ে মুম্বইয়ে কাজ করতে কত খরচ হয়, সেই ধারণা এখানকার মানুষদের নেই। কলকাতার শিল্পীদের খাওয়া, যাতায়াত, থাকার খরচ সবকিছুই বলিউড বহন করে। কিন্তু মুম্বইয়ের শিল্পী নিলে সেই খরচ অনেক কম হয়। কিন্তু তারপরেও বলিউড বাংলার শিল্পীদের নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী।

টোটা জানালেন, মুম্বইয়ে কাজ করতে গেলে এ-লিস্ট ছাড়া সকলকে অডিশন দিতে হয়। পনের-কুড়ি জন শিল্পী শুধু একটা দৃশ্যের কাজের জন্য অডিশন দেন। সেখানে কলকাতার শিল্পীদের কাজের গুণগত মান রয়েছে বলেই তাঁরা সুযোগ পান। তাঁরা সহজেই দর্শকদের মনে স্থান করতে পারেন।

কথা প্রসঙ্গে টোটা জানালেন, বলিউড বর্তমানে ফ্রেশ মুখ চাইছে যাঁরা খুব সহজেই অনেক ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে পারবেন। বাংলা ফিল্মের শুটিং আঠারো-কুড়ি দিনের মধ্যে হয়ে গেলেও বলিউডে অন্তত ষাট দিন সময় লাগে। বলিউডে এই মুহূর্তে অন্য ধারার ফিল্ম তৈরি হচ্ছে। ফলে প্রয়োজন হচ্ছে বাংলার শিল্পীদের।

Related Articles