রাতের বেলা দই খান! তাহলে নিজেই ডেকে আনছেন নিজের সর্বনাশ
দই খাওয়া শরীরের জন্য ভীষণ প্রয়োজন। দইয়ের মধ্যে থাকা ব্যাকটেরিয়া, ভিটামিন এবং নানান ধরনের মিনারেল শরীরে প্রবেশ করলে শরীর ভালো থাকে। বিশেষত যাদের দুধ খেলে দুধ সহ্য হয় না তারা বাড়িতে দই পেতে খেতে পারেন। এতে শরীর ভালো থাকে, ত্বক ভালো থাকে এবং চুল ভালো থাকে। কিন্তু দই খাওয়া নিয়ে অনেকের অনেকের ভ্রান্ত ধারণা থাকে। কেউ মনে করেন, দই খেলে ঠান্ডা লাগতে পারে, আবার কারও মতে, রাত্রিবেলা দই খাওয়া উচিত নয়। জেনে নিন দই খাওয়ার নিয়মাবলী।
১) দই খেলে ঠান্ডা লাগে না কিন্তু যাদের ঠান্ডা লাগার ধাত আছে, তারা সূর্য ডোবার পরে দই খাবেন না।
২) দিনের বেলা লাঞ্চের পরে এক বাটি দই এর রায়তা খেতে পারেন। তবে সে ক্ষেত্রে দইয়ের মধ্যে চিনি না না দেওয়াই ভালো। এক চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো, শসা, টমেটো কুচি, দিয়ে রায়তা করে খান। যারা ডায়েট কন্ট্রোল করছেন তাদের জন্য এটি অনবদ্য একটি উপাদান।
৩) রাতের বেলা যদি দই খেতে চান তাহলে দই ভাত খান। সামান্য চিনি এবং সামান্য নুন দিয়ে মেখে খেয়ে ফেলুন।
৪) দিনে অন্তত একবার দইয়ের লস্যি করে খেতে পারেন। দু চামচ দই, এক চামচ চিনি, একটু নুন, এক চামচ লেবুর রস, এক-চামচ ভাজা মশলা গুঁড়ো ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে খেতে পারেন।
দই খাওয়ার উপকারিতা জেনে নিন-»
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে দই। বর্তমানে এই করোনাভাইরাস এর আবহে আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলা। তাই প্রতিদিন অল্প করে টক দই খান।
মানুষের চিন্তা কমাতে সাহায্য করে টক দই। প্রতিদিন অল্প করে টক দই খেলে আপনি মানসিক স্ট্রেস থেকে মুক্তি পাবেন। দইয়ের মধ্যে থাকা ক্যালসিয়াম হাড় ও দাঁতের ক্ষয় রোধ করতে সাহায্য করে।
হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে দই। তাই প্রতিদিন তিন চামচ টক দই এর সাথে একটু সৈন্ধব লবণ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে খান তাহলে বদহজম, অম্বল এর সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
শরীরকে ভেতর থেকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে টক দই। লিভার ভালো থাকলে আপনার ত্বক বাইরে থেকে এমনি উজ্জ্বল হবে। তাই প্রতিদিন খাবার তালিকায় দু তিন চামচ টক দই রাখুন। এতে আপনার ত্বক এবং চুল ঝলমলে হবে।