Hoop FitnessHoop Life

Lifestyle: খাওয়ার পর স্নান করা কেন বৈজ্ঞানিক! আসল কারন জানেন?

খাওয়ার আগে স্নান না পরে স্নান এই নিয়ে অনেকের মধ্যে নানান উৎকণ্ঠা রয়েছে। বিশেষ করে বাড়ির মা, দিদা, ঠাকুমা বলেন স্নান করে খাওয়া দাওয়া করতে। অনেক সময় এই নিয়মের উল্টো পথে আমরা হাঁটি। কখনো এত বিশাল খিদে পায় যে খেয়ে ফেলি আগে, তারপর স্নান। কখনো আবার স্নান বাদ দিয়ে খেয়েই কাজে চলে যাই বা ঘুমোতে। কিন্তু, স্নান বাদ দেওয়া বা পরে করার মধ্যে আদৌ কি কোনো সমস্যা আছে?

আপনি হয়তো জিজ্ঞেস করেছেন কি হয় পরে স্নান করলে? এই উত্তর আপনি তাদের থেকে যথাযথ না পেলেও নিজেই দুটো দিন পরীক্ষা করুন। একদিন দুপুরে আহার সেরে স্নানে যান, অন্যদিন স্নান সেরে আহারে বসুন। পার্থক্য আপনি নিজেই অনুভব করতে পারবেন।

যাইহোক, কোনোকিছুই পুরোপুরি ঠিক বা বেঠিক নয়। কাজের চাপে বা খিদের জেরে আপনি আগে খেয়ে পরে স্নানে যেতেই পারেন। আবার স্নান করেও খেতে পারেন। কোনোটিই ভুল নয়। তবে, একথা মানতে হবে যে আমাদের শরীর একটি মেশিন। আমরা এতে মেমোরী কার্ড ঢুকিয়ে বিভিন্ন স্মৃতি সঞ্চয় করতে পারি ঠিকই, কিন্তু এটিও একটি মেশিন।

আপনার ফোনে চার্জ দেওয়ার পরেই আপনি যথেচ্ছ ব্যাবহার করতে পারেন, তেমনই শরীরকে চার্জ দেওয়ার জন্য এর ইঞ্জিনকে প্রথমে জল দিয়ে ঠান্ডা করতে হয় তারপর শরীরে পুষ্টিকর আহার দিয়ে নতুন করে শক্তি সঞ্চয় করতে হয়। আমরা জানি প্রতিটা খাবার হল শক্তির উৎস। প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট, যাই থাকুক না কেন আমাদের খাবারের মধ্যে এই সবকটিই হল শক্তি। তাই, শরীর ও মনকে জল দিয়ে শান্ত করে তবেই তাতে নতুন শক্তি প্রেরণ করা যায় এবং সেই শক্তির কার্যক্ষমতা অনেকক্ষণ পর্যন্ত চলতে থাকে। তাই খাওয়ারের আগেই স্নান, পুজো সেরে নিন, তারপর আহার নিন, বিশ্রাম করুন, এবং নিদ্রা নিন বা ফের কাজে যুক্ত হন। কিন্তু, মাঝে মধ্যে এর উল্টোটা হলে শরীরে তেমন কোনো পরিবর্তন হয় না এবং ক্ষতিও হয় না।

Related Articles