Hoop Story

Viral: আলমারির মাথায় উঠে ‘টিকটক’ ভিডিও, মর্মান্তিক পরিণতি হলো এগারো বছরের কিশোরীর!

নব্বইয়ের দশকে সোশ্যাল মিডিয়া ছিল না। কিন্তু সেই সময় ছোটদের জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘শক্তিমান’ দেখে একাধিক শিশু তাদের প্রিয় সুপারহিরোকে নকল করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে একবিংশ শতকে পদার্পণ করেছে পৃথিবী। করোনা পরিস্থিতির কারণে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে শিশুরা। আউটডোর গেমের কথা প্রায় ভুলতে বসেছে তারা। কিন্তু এই ঘটনার খেসারত দিতে হল এগারো বছর বয়সী এক বালিকাকে। খেলার ছলে গলায় ফাঁস দিয়ে টিকটক ভিডিও তৈরি করতে গিয়ে মৃত্যু হল তার।

অত্যন্ত মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের নোয়াখালির চাটখিল উপজেলায়। এগারো বছরের বালিকার নাম সঞ্জিদা আখতার (Sanjida Akhter)। চাটখিল উপজেলার শিবপুর গ্রামের বাসিন্দা সঞ্জিদা স্থানীয় শিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী। টিকটক ভিডিও বানানো ছিল তার নেশা। সঞ্জিদার প্রতিবেশী সিদ্দিকুল্লা (Siddikullah) জানিয়েছেন, 7 ই জুলাই, বৃহস্পতিবার, বিকালে সঞ্জিদা ঘরের আলমারির উপর উঠে গলায় ফাঁস লাগানোর ভিডিও রেকর্ড করছিল টিকটকের জন্য।

আলমারির উপর উঠে ঘরের নিচু কড়িকাঠের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগায় সঞ্জিদা। এরপর ওই ফাঁস লাগানোর টিকটক ভিডিও করার সময় আলমারি থেকে পা ফসকে পড়ে যায় সে। সেই সময় ওই ফাঁস তার গলায় পেঁচিয়ে যায়। সঞ্জিদার পরিবারের সদস্যরা দ্রুত তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা সঞ্জিদাকে মৃত ঘোষণা করেন। চাটখিল থানার পুলিশ এই ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে। সঞ্জিদার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে নোয়াখালি জেনারেল হাসপাতালে। চাটখিল থানার ওসি গিয়াসউদ্দিন (Giasuddin) জানিয়েছেন,অসাবধানতাবশতঃ গলায় ফাঁস লেগে মারা গিয়েছে সঞ্জিদা।

মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় শোকস্তব্ধ সঞ্জিদার বাবা মনজুরুল ইসলাম (Monjurul Islam)। তিনি এখনও বুঝে উঠতে পারছেন না সঞ্জিদা কেন এরকম করল! তিনি মেয়েকে বারবার বারণ করতেন মোবাইল নিয়ে খেলতে। কিন্তু শেষ অবধি অঘটন ঘটেই গেল।

whatsapp logo