Recipe: ভাতের সঙ্গে খাওয়ার জন্য নিরামিষ নারকেল বাদামের পুর ভরা পটল কষা বানানোর রেসিপি
পটল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী। এটি খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে। বিশেষ করে যারা ডায়েট করছেন, তারা অবশ্যই পটল খান। পটল খেলে পেট ভর্তি থাকবে অথচ শরীরের মাংস লাগবেনা। এছাড়া এই রান্নায় ব্যবহৃত নারকেল সেও ভীষণ উপকারী একটি খাবার নারকেল খেলে ত্বক এবং চুল ভীষণ সুন্দর হয় তাইতো দক্ষিণ ভারতীয় মহিলাদের চুল এত সুন্দর, তারা খাবারে প্রচুর পরিমাণে নারকেল খেয়ে থাকেন। এছাড়া এ খাবারে ব্যবহৃত আরেকটি অসাধারণ উপাদান হলো চিনাবাদাম। চিনাবাদাম এর ভেতরে থাকা প্রাকৃতিক তেল আপনাকে শরীরের ভেতর থেকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। যারা ডায়েট করছেন তারা কিন্তু চিনে বাদাম খেতে পারেন তাদের জন্য চিনাবাদাম একেবারেই ক্ষতি নয়।
উপকরণ –
পটল ৫০০ গ্রাম
চিনেবাদাম বাটা ৩ টেবিল চামচ
কোরানো নারকেল ৪ টেবিল চামচ
কুচি করা কিশমিশ
নুন মিষ্টি স্বাদ মত
গ্রেভি তৈরি করার জন্য –
আদা বাটা ৩ টেবিল চামচ
টমেটো বাটা ৪ টেবিল চামচ
কুচানো ক্যাপসিকাম একটি
গোটা জিরে, শুকনো লঙ্কা, তেজপাতা
হলুদ গুঁড়ো ১ চা চামচ
লঙ্কা গুঁড়ো স্বাদমতো
জিরে গুঁড়ো ১ চা চামচ
ধনে গুঁড়ো ১ চা চামচ
আমচুর পাউডার ১ চা চামচ
নুন, মিষ্টি স্বাদমতো
কোরানো নারকেল
সরষের তেল ১ কাপ
প্রণালী –
পটল গুলোকে প্রথমে ভালো করে মুখটা কেটে নিয়ে চামচের সাহায্যে ভেতরের পটলের দানা বার করে ফেলতে হবে। এরপর পুর বানানোর জন্য পাত্রের মধ্যে কোরানো নারকেল, চিনে বাদাম বাটা, কুচি করা কিশমিশ, নুন, মিষ্টি স্বাদ মত দিয়ে ভালো করে হাতের সাহায্যে মাখতে হবে। মেখে নিয়ে কেটে রাখা পটলের মধ্যে পুর ভরে দিতে হবে। এরপর কড়াইতে সরষের তেল গরম করতে হবে। এতে জিরে, শুকনো লঙ্কা, তেজপাতার ফোড়ন দিতে হবে। তার মধ্যে আদা বাটা, টমেটো বাটা, ক্যাপসিকাম কুচি সমস্ত গুঁড়ো মশলা দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। এরপর এরমধ্যে পটল গুলি দিয়ে দিতে হবে। সামান্য উষ্ণ গরম জল দিয়ে ঢাকা দিয়ে রাখতে হবে। কিছুক্ষণ পরে ঢাকা খুলে ওপরে করিয়ে রাখা নারকেল দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন নিরামিষ নারকেল বাদামের পুর ভরা পটলের কষা।