ভাতের সঙ্গে খাওয়ার জন্য নিরামিষ ওল মালাইকারি রেসিপি
ওল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ ভালো। ছোটবেলায় আমরা একটা কবিতা পড়েছি ওল খেওনা ধরবে গলা। কিন্তু বিশ্বাস করুন ওল খেলে গলা ধরবে না। ওলে আছে ভীষণ ভালো উপাদান। যা আপনার শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী যারা ওজন সমস্যায় ভুগছেন তারা ওল ভাতে ইলিশ সেদ্ধ খেতে পারেন। যারা যারা অনেকদিন ধরে যারা আমাশা রোগের ভুগছেন তারাও ওল খেতে পারেন। মুখে ঘা এবং তাদের জ্বালায় অথবা ছুলি মানে অর্থাৎ যারা ত্বকের নানান সমস্যায় জর্জরিত তারা প্রতিদিন ওল সেদ্ধ আলু ভাতে সামান্য সরষের তেল এবং কাঁচালঙ্কা দিয়ে খেতে পারেন। ওল কে পুড়িয়ে নিয়ে এবং এই পোড়ানো ওল যদি ব্রাশ এর মতন করে ব্রাশ করা যায় তাহলে মুখের ঘা অনেকাংশে কমে যায়।
এত গুণ যখন এই ওলের চলুন আজ জেনে নেই ওল দিয়ে নিরামিষ একটি রান্না:-
উপকরণ-»
ওল ৫০০ গ্রাম
নারকেলের দুধ ১কাপ
কোরানো নারকেল ৩ টেবিল চামচ
সরষের তেল ১ কাপ
গোটা জিরে, শুকনো লঙ্কা, তেজপাতা, লবঙ্গ, এলাচ, দারচিনি, গোলমরিচ,
গোলমরিচ গুঁড়ো
জিরা গুঁড়ো ১ চা চামচ
লঙ্কা গুঁড়ো স্বাদমতো
ধনে গুঁড়ো ১ চা চামচ
হলুদ গুঁড়া সামান্য
পোস্ত বাটা ১ টেবিল চামচ
আদা বাটা ১ টেবিল চামচ
টমেটো বাটা ১ টেবিল চামচ
নুন মিষ্টি স্বাদমতো
প্রণালী-» ওলগুলিকে টুকরো টুকরো করে কেটে নিতে হবে। এরপর কড়াইতে সরষের তেল গরম করে তাতে তেজপাতা, দারচিনি, এলাচ, লবঙ্গ, গোলমরিচ ফোড়ন দিতে হবে। এরপর এর মধ্যে আদা বাটা, টমেটো বাটা, পোস্ত বাটা এবং সমস্ত গুঁড়ো মশলা, মিষ্টি স্বাদ মত দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হয়ে গেলে টুকরো টুকরো করে কেটে রাখা ওল দিয়ে নারকেলের দুধ দিয়ে সামান্য উষ্ণ গরম জল দিয়ে ঢাকা দিয়ে রাখতে হবে। ঢাকা খুলে ওপরে কোরানো নারকেল দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন নিরামিষ ওলের মালাইকারি।