ভাতের সঙ্গে খাওয়ার জন্য নিরামিষ তিল পোস্ত পাতুরি
তিল ও পোস্ত খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ ভালো। তবে বর্তমানে পোস্তকে তাকে মোটামুটি আলমারিতে তুলে রাখার অবস্থা হয়েছে। তাই পোস্ত সামান্য নিয়ে তার সঙ্গে তিল মিশিয়ে অসাধারণ স্বাদের নিরামিষ পাতুরি বানাতে পারেন। পাতুরি মানেই তো আমরা ভেটকি পাতুরি, ইলিশ পাতুরি, চিংড়ি পাতুরি কিন্তু নিরামিষ দিনে অথবা যারা আদ্যোপান্ত নিরামিষ ভোজন করেন, তাদের মুখের স্বাদ বদলাতে অবশ্যই নিরামিষ দিনে তিল পোস্ত পাতুরি বানিয়ে দেখতে পারেন।
তিল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী। তিল ত্বক এবং চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন যদি এক চামচ করে তিল বাটা খাওয়া যায়, তাহলে চুল আর ত্বকের জন্য বাজারচলতি কোনরকম ক্রীম মাখতে হবে না। তিলের তেল খুব ভালো সানস্ক্রিন হিসেবে কাজ করে। আমরা তো বাজারচলতি কত রকমের সানস্ক্রিন লোশন মেখে থাকি কিন্তু এই খাঁটি তিলের তেলের সঙ্গে যদি এক চামচ চন্দন গুঁড়ো মিশিয়ে মাখা যায়, আর এটি যদি সূর্যের তাপে বেরোনোর আগে আপনি ঘাড়ে, পিঠে, হাতে, মুখে ভালো করে লাগিয়ে নিয়ে থাকেন, তাহলে আপনার কোনদিন সান টান পড়বে না। যারা হার্টের পেসেন্ট আছেন, তারা অবশ্যই তিল বাটা খান। তাদের জন্য তিল বাটা অতি উত্তম। মেয়েদের মাসিকের নানা রকম সমস্যা হলে কাজে লাগে। তিল ও তিসি একসঙ্গে এক চামচ মিশিয়ে খেতে পারেন। এগুলো খুব সহজেই দশকর্মা ভান্ডারে পাওয়া যায়। তবে বর্তমানে স্বাস্থ্যের কথা ভেবে অনেক ওষুধের দোকানে ঐগুলিকে পাওয়া যাচ্ছে। এত গুণ যখন এই অসাধারণ তিল দিয়ে অবশ্যই রোজ নিত্যনতুন রান্না বানিয়ে ফেলতে পারেন।
উপকরণ -»
পোস্ত বাটা ৫ টেবিল চামচ
তিল বাটা ১০ টেবিল চামচ
চিনা বাদাম বাটা ৫ টেবিল চামচ
কুচানো ধনেপাতা ১ কাপ
কুচিয়ে রাখা কাঁচালঙ্কা স্বাদমতো
নুন মিষ্টি স্বাদ মত
হলুদ গুঁড়ো ১ চা চামচ
প্রয়োজন মতন কলাপাতা
সরষের তেল এক কাপ
প্রণালী -»
একটি বড় পাত্রের মধ্যে পোস্ত বাটা, তিল বাটা, চিনা বাদাম বাটা, ধনেপাতা, কাঁচা লঙ্কা, নুন মিষ্টি স্বাদ মত, হলুদ গুঁড়ো এবং প্রয়োজনমতো সরষের তেল দিয়ে ভালো করে মাখতে হবে। কলাপাতা গুলিকে চৌকো চৌকো করে কেটে নিয়ে এর মাঝখানে মিশ্রণটি দিয়ে ভালো করে সুতো দিয়ে বেঁধে নিতে হবে। এরপর ফ্রাইং প্যানে সামান্য তেল ব্রাশ করে এপিট ওপিট করে সময় ধরে ভেজে নিলেই একেবারে তৈরি হয়ে যাবে নিরামিষ তিল পোস্ত পাতুরি।