Hoop News

Tourism: হোটেলের জন্য গুনতে হবে না হাজার হাজার টাকা, এবার পুরীতে বাঙালি পর্যটকদের জন্য দুর্দান্ত ব্যবস্থা

দুর্গাপূজা হোক বা শীতের ছুটি, কাজ থেকে ফুরসৎ মিললেই অনেকে ব্যাগ গুছিয়ে বেরিয়ে পড়েন বাড়ি থেকে। কখনও গন্তব্য হয়ে থাকে পাহাড়, কখনো সমুদ্র, কখনো ঐতিহাসিক স্থান, কখনো ধর্মীয় স্থান, আবার কখনো কোনো শান্ত জায়গা। এর মাঝে অনেকেই যান বিদেশ ট্যুরে, কেউ আবার ভিনরাজ্যে কোনো দর্শনীয় স্থান যেতে পছন্দ করেন। অনেকেই আবার কাছেপিঠের কোনো সুন্দর জায়গা খুঁজে নেন হলিডে ডেস্টিনেশন হিসেবে। সেখানেই দিনকয়েক কাটিয়ে আবার সাধারণ জীবনে ফিরতে হয়।

বাঙালির কাছেপিঠের সুন্দর জায়গার অন্যতম হল পুরী। সমুদ্র সৈকতের সঙ্গে এখানে ধর্মীয় স্থান হিসেবে রয়েছে জগন্নাথ দেবের মন্দির। সেই কারণেই সারা দেশ থেকে সারাবছর লক্ষ লক্ষ দর্শনার্থী হাজির হন ওড়িশার এই নগরীতে। বিশেষ করে বাঙালি পুণ্যার্থীর ভিড় লক্ষ্যনীয় হয় পুরীতে। আর সেই কারণেই এবার বাঙালি পুণ্যার্থীদের কথা মাথায় রেখে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের অঙ্গে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর ফলে ব্যাপক সুবিধা পেতে চলেছেন বাংলার দর্শনার্থীরা।

পুরী গিয়ে মূলত পর্যটকরা থাকার সমস্যায় পড়েন। তবে এবার সেই সমস্যা দূর করতে সেখানে একটি বঙ্গনিবাস তৈরি করা হবে বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এর জন্য ৮৫ কোটি টাকা খরচ করা হবে। এর ফলে বাঙালি পর্যটকদের কাছে পুরী ভ্রমণ আরো বেশি সুবিধার হতে চলেছে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। জানা গেছে, আগামী ২ বছরের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ সম্পুর্ন করা হবে। এর জন্য প্রয়োজনীয় ২ এখর জমি ওড়িশা রাজ্য সরকারের তরফ থেকে উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছে।

সূত্রের খবর, ২ লক্ষ ৩১ হাজার ৩৭২ ফুট জায়গা জুড়ে ‘বঙ্গনিবাস’ নামের এই বিশেষ অতিথিশালা নির্মাণ করা হবে। জানা গেছে, এই বঙ্গনিবাসে ১০৩ টি রেসিডেন্সিয়াল ইউনিট থাকবে। আরো জানা গেছে, এই নিবাসের দক্ষিণ দিকে থাকবে ভিআইপিদের থাকার ব্লক থাকবে এবং উত্তর দিকে সাধারণ মানুষের থাকার জায়গা করা হবে গোলা আকৃতির। এছাড়াও এই কমপ্লেক্সে থাকবে কিচেন, প্যান্ট্রি, কনফারেন্স রুম, রেস্তোরাঁ ,ব্যাংকুয়েট এবং গাড়ি পার্কিং। হোটেলের তুলনায় কম খরচে মিলবে এই থাকার ব্যবস্থা।

Related Articles