স্ট্রেস কমাতে লাগাম আনুন খানাপিনায়, জেনে নিন সুস্থ থাকার ডায়েট চার্ট
পরিবেশ দূষণ, কাজের চাপে অনেক সময় খাদ্যাভ্যাস আমাদের পরিবর্তিত হয়। এছাড়াও নিজের জীবনে আধুনিকতা বেছে নিতে গিয়ে আমরা অজান্তেই অনেক ভুল করে ফেলি। তাই খেয়াল করে দেখবেন আগের থেকে এখন গ্যাস, অম্বল, অ্যাসিডিটি শরীর খারাপের হার অনেকটাই বেড়ে গেছে। মন খারাপ থাকলে কিংবা স্ট্রেস কমাতে আমরা অনেক সময় অনেক বেশি খেয়ে ফেললে এতে হয়তো সাময়িক ভাবে মন ভালো হয়ে যায় কিন্তু অজান্তেই আমরা আমাদের শরীরকে আরো বেশি খারাপের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। শরীর সুস্থ রাখতে আপনাকে আপনার প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাস একটু পরিবর্তন করতে হবে।
১) ঘনঘন চা, কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা থেকে বিরত থাকুন। অতিরিক্ত ক্যাফেইন লিভারকে নষ্ট করে দেয়। হজম ক্ষমতা নষ্ট করে খিদে কমিয়ে দেয়। কাজের ফাঁকে চা খাবার অভ্যাস থাকলে সেই জায়গায় মাঝেমাঝে গরম জল এবং গ্রিন টি খেতে পারে।
২) মদ্যপান থেকে বিরত থাকতে হবে। অতিরিক্ত স্ট্রেস কমাতে আমরা হাতে তুলে নিই মদের বোতল। কিন্তু এতে শরীর আরো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই মদ্যপান করবেন না। ধীরে ধীরে কমানোর চেষ্টা করুন।
৩) অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে। কোলড্রিংস খাওয়া একই বাড়ি যাবেনা। বাড়িতে বানানো ফলের রস খান। অতিরিক্ত মাত্রায় চিনি শরীরকে আরো বিপদের দিকে ঠেলে নিয়ে যায়।
৪) মনের চিন্তা কমাতে অনেকেই চকলেট খেয়ে থাকেন। চকলেটের মধ্যে থাকা উপাদান সাময়িকভাবে মানসিক স্ট্রেস অনেকটা কমিয়ে দেয়। এ কথা সত্যি হলেও বেশি পরিমাণে চকলেট আপনার শরীরের জন্য ক্ষতি হতে পারে। তাই যখনই চকলেট খেতে ইচ্ছা করবে ডার্ক চকলেটের একটু টুকরো মুখে দিতে পারেন।
৫) রাস্তায় তৈরি করা নানান ধরনের ফাস্টফুডের থেকে দূরে থাকতে হবে। বাড়ি থেকে টিফিন নিয়ে যাওয়ার যদি কোন ব্যবস্থাই না থাকে তাহলে বাইরে অবশ্যই ভাত, রুটি, ফল, মুড়ি ইত্যাদি খান।
৬) প্রচুর পরিমাণে জল পান করতে হবে জল শরীর থেকে টক্সিন দূর করে দেয় যারা গ্যাস, অম্বল এর সমস্যায় ভুগছেন তারা অন্তত দিনে চার থেকে পাঁচবার গরম জল পান করুন। গরম জল শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে অনেক বেশি সাহায্য করে।
৭) ভারী খাবার খাওয়ার অন্তত আধঘন্টা পরে এক গ্লাস গরম জলের মধ্যে এক চামচ লেবুর রস এবং এক চামচ আদার রস দিয়ে খেতে পারেন এতে হজম ক্ষমতা অনেক ভালো হয়। সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন হলুদ খেতে পারেন। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে বাসিমুখে গুড় হলুদ খেলে শরীর ভেতর থেকে পরিষ্কার হয়ে যায়।