বর্ষাকাল মানেই হল ইলিশ মাছের নানান রকম রেসিপি মানুষের রান্নাঘরে রান্না হবে। কিন্তু বাংলার মানুষের মাথায় হাত পড়েছে, মরসুমের প্রথম ইলিশ দেখা গিয়েছিল ১৪ ই জুলাই। এই আশা নিয়ে মৎস্যজীবীরা তারপরে সাগরে জাল ফেলেন, কিন্তু সেই ভাবে মনের মতন ইলিশ মাছ ওঠেনি। প্রথমে ভালো মাছ ওঠার আশা করলেও সেই আশায় একেবারে জল ঢেলে দিল প্রকৃতি।
জুলাইয়ে যখন ইলিশ ধরা পড়েছিল, তখন ছিল অমাবস্যার কোটাল কিন্তু পরবর্তীকালে যখন পয়লা আগস্ট পূর্ণিমার কোটাল ছিল, মৎস্যজীবীরা আশা করেছিলেন পূর্ণিমার কোটালে হয়তো দ্বিগুণ বেশি ইলিশ উঠবে। কিন্তু একেবারেই ভালো ইলিশ ধরা পড়েনি। তাদের বেশ হতাশ হতে হয়েছে। তবে মৎস্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এর জন্য দায়ী আবহাওয়া। মাঝে মধ্যেই গভীর নিম্নচাপ তৈরি হচ্ছে আর যার ফলে উত্তাল হচ্ছে সমুদ্র যার জন্যই ইলিশ মাছ ধরতে কেউ যেতেও পারছে না।
তবে কয়েকদিন আগে বাংলাদেশের কক্সবাজারের কাছে টনটন ইলিশ ওঠার খবর আমরা প্রত্যেকেই জানি। খারাপ আবহাওয়ার কারণে সুন্দরবন, কাকদ্বীপ, নামখানা পাথরপ্রতিমা, সাগর ও রায়দিঘি এলাকার মৎস্যজীবীরা মাছ ধরতে যেতে পারছেন না। নিম্নচাপের রেশ কাটিয়ে ওঠার পরে মৎস্যজীবীরা অনেক আশা নিয়ে সমুদ্রে উত্তাল ও উত্তাল সমুদ্রে জাল ফেলেও সেখান থেকে পমফ্রেট, ভোলা, ম্যাকারেল ছাড়া অন্য খুব একটা মাছ জালে ধরা পড়েনি। ইলিশ তো পাওয়া যায়নি, ফলে বাংলা ট্রলার মালিকরা কিন্তু বেশ লোকসানের মুখে পড়ছেন।
কারণ ট্রলার মালিকদের ট্রলার নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রথম ট্রিপে প্রচুর খরচ হয়, জ্বালানি তেল, বরফ ইত্যাদি কিনতে হয়, প্রায় এক লক্ষ টাকার মতন পড়ে যায়। এছাড়া ডিজেলের দাম কিন্তু বেশ বেশি। তাই যদি ইলিশ না ধরা পড়ে, তাহলে ট্রলার মালিকরা অবশ্যই লোকসানের মুখোমুখি হবেন।