Hoop Fitness

Heart Attack: বাড়ছে হৃদরোগে মৃত্যুর প্রবণতা, এইভাবে চেষ্টা করলে রোগীকে বাঁচাতে পারবেন

গত কয়েক বছরে ক্রমশ জেন ওয়াই-এর মধ্যে বেড়ে চলেছে হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা। গত বছর ঘুমের মধ্যেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন সিদ্ধার্থ শুক্লা (Siddharth Shukla)। মাত্র চল্লিশ বছর বয়সে চলে গিয়েছেন তিনি। এই ঘটনার কিছুদিন পরেই অল্প বয়সেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন পুনিত রাজকুমার (Puneet Rajkumar)। টলিউডে কিছুদিন আগে আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন অভিষেক চট্টোপাধ্যায় (Abhishek Chatterjee)। কয়েক সপ্তাহ আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন কেকে (KK)। তবে শুধুমাত্র তারকারাই নন, চারপাশে তাকালে দেখা যাবে অল্প বয়সেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অনেকেই ঢলে পড়ছেন মৃত্যুর কোলে।

প্রথমেই আসা যাক বয়সের কথায়। চিকিৎসকদের মতে, চল্লিশ বছর বয়স অবধি মানবশরীরে হৃদরোগের বিরুদ্ধে ইমিউনিটির মাত্রা সঠিক থাকে না। ফলে কখনও কখনও অনিয়মিত জীবন যাপন অথবা পারিবারিক ইতিহাসের কারণে হৃদরোগের আশঙ্কা দেখা যায়। হৃদরোগে আক্রান্ত হলে চল্লিশ বছর বয়স অবধি মানুষদের মৃত্যুর আশঙ্কা বেশি থাকে। কিন্তু চল্লিশ পেরিয়ে গেলে প্রাকৃতিক নিয়মেই শরীরে হৃদরোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে। ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত হলে পক্ষাঘাত হওয়ার পরও অধিকাংশ মানুষ বেঁচে থাকেন।

কেকে কোনো নেশা করতেন না। অত্যন্ত নিয়মমাফিক জীবন যাপন করতেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁর হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে। কেকের হার্টে ব্লকেজ ছিল বলে জানা গিয়েছে। নিয়মানুবর্তিতার পরেও হার্ট ব্লকেজ থাকার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। অত্যধিক স্ট্রেস থেকেও হার্ট ব্লকের সম্ভাবনা থাকে। অভিষেকের মৃত্যুর মূল কারণ হল সিগারেট। যে সময় তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছিল, সেই সময় তিনি সিগারেটে একটি টান দিয়েছিলেন বলে শোনা যাচ্ছে। এটি তাঁর হার্ট অ্যাটাক ঘটিয়েছে।

নিয়মিত শরীরচর্চা, পর্যাপ্ত বিশ্রাম, সঠিক ডায়েট ও ঘুম ছাড়াও অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি পদক্ষেপ হল হার্ট চেকআপ। অন্তত বছরে একবার একটি ইসিজি ও ইকোকার্ডিওগ্রাফি করিয়ে কার্ডিওলজিস্টের মাধ্যমে নিজের চেক আপ করানো উচিত। কারণ হার্টের সমস্যা সবসময় জানান দেয় না। তা একমাত্র ইসিজি ও ইকোর মাধ্যমেই বোঝা সম্ভব।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by KK (@kksinger_)

সর্বোপরি হল ‘গোল্ডেন আওয়ার’। প্রাথমিক পর্যায়ে শারীরিক অস্বস্তি বোধ করলেই দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতাল বা নার্সিং হোমে যাওয়া প্রয়োজন। যদি ব্যক্তি হৃদরোগে আক্রান্ত হন, তাহলে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া উচিত। হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর আগামী এক ঘন্টাকে চিকিৎসার পরিভাষায় বলা হয় ‘গোল্ডেন আওয়ার’। এই সময়ের মধ্যে রোগীকে নিয়ে এলে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করে তাঁকে বাঁচানো সম্ভব। সেই ক্ষেত্রে অনেক সময় পক্ষাঘাতের হাত থেকেও রোগীকে রক্ষা করা যায়। কিন্তু ‘গোল্ডেন আওয়ার’ পেরিয়ে গেলে হতে পারে জীবন সংশয়। এমনকি ‘গোল্ডেন আওয়ার’-এর পর চিকিৎসকের চেষ্টায় রোগীর প্রাণ বাঁচানো গেলেও পক্ষাঘাতের আশঙ্কা থেকে যায়। শরীরকে অবহেলা করা উচিত নয়। ‘হুপহাপ’ (HOOPHAAP)-এর তরফ থেকে পাঠককুলের কাছে বিনীত নিবেদন, সুস্থ থাকুন, সুস্থ রাখুন।

Related Articles