Price Hike: আগামী দিনে ব্যাপকভাবে বাড়বে চাল, ডাল ও আটার দাম! উদ্বেগজনক তথ্য প্রকাশ কৃষি বিভাগের
প্রাচীনকাল থেকেই ভারত একটি কৃষিপ্রধান দেশ। আমাদের এই দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ কৃষিকাজের সাথে জড়িত। দিন হোক বা রাত, শীত হোক বা গ্রীষ্ম, কৃষকরা যেন সবসময়ই তাদের কাজ করে চলেছে। প্রাকৃতিক কঠিনতাকে উপেক্ষা করেই দেশের অন্নসংস্থান করাই তাদের মূল লক্ষ্য। তাই একথা অস্বীকার করা যায়না যে একজন কৃষক যখন ক্ষেতে পরিশ্রম করে, তখন লক্ষ লক্ষ মানুষের থালায় খাবার পৌঁছে যায়। কিন্তু এই চাষাবাদ করতে গিয়ে কৃষকদেরও অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। বেশিরভাগ সময়ই সেটা হয় আর্থিক সমস্যা।
আর এবার এইসব সমস্যার ব্যাপক প্রভাব পড়তে চলেছে সাধারণ মানুষের জনজীবনে। কারণ এর প্রভাবে এবার ঘটতে চলেছে মূল্যবৃদ্ধি। কারণ চাষবাসে কৃষকদের অনীহার কারণে কমেছে উৎপাদন। আর দেশের জাতীয় কৃষি বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে এই বিষয়টি। সেখান থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী দেখা গেছে যে দেশের রবি শস্যের উৎপাদন কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে। আগের বছরের তুলনায় এই পরিমাণ অনেকটাই কম। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে, এইভাবে শস্যের উৎপাদন কমলে আগামী দিনে চাল, ডাল গম, আটা ইত্যাদির জোগানও কমে যেতে পারে।
কেন্দ্রের কৃষি বিভাগের তথ্যানুযায়ী, এই বিষয়টি স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। এই তথ্য থেকে দেখা যাচ্ছে যে যেসব এলাকায় গমের বীজ বপনের করা হয় তা কমেছে ৫ শতাংশ হারে। জায়গার হিসেবে দেখলে দেখা যাচ্ছে যে এলাকা গত বছর ৯১.০২ লক্ষ হেক্টর জমিতে গমের বীজ বপন ককরে হয়েছিল। সেখানে এই বছর এই পরিমাণ কমে ৮৬.০২ লক্ষ হেক্টর হয়েছে। আর এই তথ্য মিলেছে উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, হরিয়ানা, গুজরাতের মতো রাজ্য থেকে যেখানে সর্বাধিক চাষ হয়ে থাকে। আর এমনটা ঘটতে থাকলে আগামী দিনে ব্যাপকভাবে বাড়বে এইসব শস্যের দাম।
তবে দেশের কয়েকটি রাজ্যে এটি উদ্বেগজনক হলেও কয়েকটি রাজ্যে কিন্তু বেড়েছে উৎপাদন। তথ্যানুযায়ী, শমধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানে বেড়েছে এই পরিমাণ। তবে শুধুমাত্র গম নয়, চালের ক্ষেত্রেও চিত্রটা উদ্বেগজনক। কারণ চাল উৎপাদনের জমি গত বছরের যেখানে ছিল ৮.০৫ লক্ষ হেক্টর, বর্তমান সময়ে সেটি কমে হয়েছে ৭.৬৫ লক্ষ হেক্টর। অন্যদিকে ডালের চাষেও ছবিটা একইরকম। গতবছর যেখানে ডালে উৎপাদিত হত ৬৯.৩৭ লক্ষ হেক্টর জমিতে, এবছর সেটি কমে ৬৫.১৬ লক্ষ হেক্টর হয়েছে।