Women Health: গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিলে যেভাবে সন্তানকে সুরক্ষিত রাখবেন
গর্ভাবস্থায় মায়ের সুস্থ থাকা ভীষণ জরুরী, মায়ের জন্য এবং গর্ভের মধ্যে থাকা ভ্রুনের জন্য শরীর অসুস্থ হওয়া একেবারেই কাম্য নয়। গর্ভাবস্থায় নানান রকম জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। গর্ভাবস্থায় প্রজেস্টেরন হরমোন নানান রকমের অস্বাভাবিক কিছু উপসর্গ সৃষ্টি করতে পারে। আর এই হরমোন এর প্রভাব অনেকখানি দায়ী পরিপাকতন্ত্রের মাংসপেশির শৈথিল্যের জন্য। তাই গর্ভাবস্থায় খাদ্যগ্রহণ বিশেষ প্রয়োজনীয়। খাবার খেলেই হবে না সুষম খাবার খেতে হবে।
গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য একটি স্বাভাবিক ব্যাপার। গর্ভকালীন কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে আপনি বেরিয়ে আসতে পারেন। তার কয়েকটি স্বাভাবিক পদ্ধতি আছে, অনেক সময় ঘরোয়া পদ্ধতিতে কাজ না হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এই সময় নিজের ওপরে কোনভাবেই নিজে থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন না, বা প্রেসক্রিপশন ছাড়া দোকান থেকে ওষুধ কিনে খাবেন না। অতিরিক্ত কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে মলত্যাগের সময় অনেক ক্লান্তি অনুভূত হতে পারে। এছাড়া তলপেট বা নিজের পিঠে ব্যথা হতে পারে পেট ফাঁপা ভাব হতে পারে বমি বমি ভাব এর উদ্রেক হতে পারে।
কিছু কথা মাথায় রাখতে হবে -»
প্রথমত, প্রচুর পরিমাণে জল পান করতে হবে।
দ্বিতীয়তঃ, আঁশযুক্ত বা ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে যেমন সবুজ শাক সবজি ডাল মটর শুটি প্রচুর পরিমাণে ফল বাদাম ইত্যাদি।
তৃতীয়তঃ, একেবারে একসঙ্গে বেশি পরিমাণ খাবার খাবেন না, এতে শরীর হাঁসফাঁস করতে পারে এবং হজমে ঠিকঠাক মতন হবে না। সারাদিনে অল্প অল্প করে খাবার খান।
চতুর্থত, যতটা সম্ভব এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিয়মিত যোগাভ্যাস প্রাণায়াম করতে হবে। শারীরিক পরিশ্রম করতে অসুবিধা হলে অবশ্যই শ্বাসের ব্যায়াম নিন। শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে আপনার সাথে সাথে বাচ্চা অনেক বেশি সুন্দর থাকবেন। যদি সম্ভব হয় রাতে খাবার পরে একটু হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। খাবার তাড়াতাড়ি হজম হয়ে যাবে।
পঞ্চমত, ঘুম থেকে উঠে অনেকেরই বমি বমি ভাব হয় তারা অবশ্যই এক গ্লাস গরম জলের মধ্যে একটু লেবু এবং আদার রস দিয়ে খেতে পারেন তাতে বমি বমি ভাব কমবে এবং মলত্যাগ করতে সুবিধা হবে।
কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে পাইলসের সমস্যা হতে পারে -»
অনেক সময় গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য পাইলস এর উপসর্গ সৃষ্টি করতে পারে। যদি অতিরিক্ত পরিমাণে কোন সমস্যা হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। পায়ুপথের চারিদিক ফুলে যাওয়া মলত্যাগের সময় মলের সঙ্গে রক্তপাত, পায়ুপথে ব্যথা অনুভব করা সবই পাইলসের লক্ষণ। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা শাস্ত্র পাইলসের খুব ভালো চিকিৎসা হয়। পাইলস এর হাত থেকে বাঁচতে অবশ্যই প্রতিদিন একটু করে টক দই খেতে পারেন। এছাড়া ডাবের জল, অথবা মেথি, মৌরি ভেজানো জল, যা শরীরকে ভেতর থেকে ঠান্ডা করবে এমন পানীয় খাবেন। অতিরিক্ত পরিমাণে মাংস খেলে পাইলসের সমস্যার দ্বিগুণ পরিমাণে বেড়ে যেতে পারে। মলত্যাগের সময় যদি ব্যথা অনুভব করেন তবে কমোডে বসার সময় পায়ের তলায় একটা ছোট্ট টুল দিয়ে বসতে পারেন। এতে মলত্যাগ অনেক সহজতর হবে। পাইলসে পায়ুদ্বার যদি অতিরিক্ত ফুলে থাকে, তাহলে অবশ্যই গরম জলের সেঁক নিতে পারেন। তবে সবকিছুর পরে একটা কথাই বলা, অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।