রুখে দেয় অকাল বার্ধক্য, কমায় আলসার, ডাবের শাঁসের এত গুণ জানতেন?
ডাবের (Tender Coconut) মতো উপকারী ফল খুব কমই আছে। শুধু খাওয়া নয়, আরো অনেক কাজেই লাগে ডাব। অনেক পুজোতে শুভ কাজে প্রয়োজন হয় ডাব। ডাবের জল শরীর ঠাণ্ডা এবং করতে কাজে লাগে। প্রচণ্ড গরমের দিনে অনেকেই শরীর ঠাণ্ডা করতে ডাবের জলে চুমুক দেন। তেমনি আবার ডাবের শাঁসও অত্যন্ত সুস্বাদু এক খাবার। ডাবের শাঁস কখনো খাননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া অসম্ভব। তবে জানেন কি, শুধু স্বাদেই নয়, পুষ্টিগুণেও ভরপুর ডাবের শাঁস। শরীরের পক্ষে অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর ডাবের শাঁস।
হজমের সমস্যায় দারুণ কাজ করে ডাবের শাঁস। বদহজমের সমস্যা কমিয়ে পরিপাকতন্ত্রকে ভালো রাখে এই খাবার। ডাবের শাঁসে রয়েছে সঠিক পুষ্টি এবং ঔষধি গুণ যা শরীরের বিভিন্ন সমস্যায় ম্যাজিকের মতো কাজ করে। আলসারের মতো গুরুতর সমস্যার ক্ষেত্রেও খুব ভালো ওষুধ হিসেবে কাজ করে ডাবের শাঁস। ডাবের শাঁস খেলে শরীরে জ্বালা ভাব কমে যায়। শরীর ঠাণ্ডা করতেও সাহায্য করে। এমনকি পেট ঠাণ্ডা রাখতে ডাবের জলের তুলনায় ডাবের শাঁস বেশি কার্যকরী বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
ডাবের জল এবং শাঁস শরীরে তৎক্ষণাৎ এনার্জি আনতে সাহায্য করে। তাই ক্লান্ত হয়ে পড়লে, কর্মক্ষমতা, উদ্যম হারিয়ে গেলে অনেকেই ডাবের জল বা শাঁসের উপরে ভরসা করেন। ডাবের জল এবং শাঁস দুইই শরীরকে মুহূর্তের মধ্যে তরতাজা করে তোলে। শরীর এবং মন চনমনে করে তুলতে সাহায্য করে।
ডাবের শাঁসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা শরীরের পক্ষে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং কার্যকরী। ডাবের শাঁসের মধ্যে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে। এছাড়াও ডাবের জল এবং শাঁস ত্বকের জন্যও খুব উপকারী। ত্বকে ঔজ্জ্বল্য আনে ডাবের জল এবং শাঁস। পাশাপাশি ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ পড়া থেকে রুখে দেয় ডাবের শাঁস এবং ডাবের জল।