Hoop Life

বৌদির হাতের স্পেশাল মুড়িঘন্ট রেসিপি

কথাতেই আছে ‘মাছে ভাতে বাঙালি’। বাঙালি খেতে বসবে আর পাতে বড় বড় মাছের টুকরো পরবে না, এমনটা হয় না। বাংলা হল সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা। বাংলার মাঠ ঘাট বলতেই প্রথমেই যেটা চোখের সামনে ভেসে ওঠে এক মাঠ ধান। সাধে কি আর কবি লিখেছেন “ধনধান্য পুষ্প ভরা, আমাদের এই বসুন্ধরা।” বাংলায় হরেক রকমের ধান পাওয়া যায়। মূলত ধানই এখানকার প্রধানত ফসল।

মুড়িঘন্ট বাঙ্গালিদের অতি জনপ্রিয় একটি রেসিপি। মুড়িঘন্টে মুড়ি থাকেনা। তবে এর এমন কেন নাম হল? মুড়ি না থাকলেও এই রেসিপির প্রধান উপাদান হলো ‘মাছের মুড়ো’। আর তাই এমন নামকরণ। মাছের মুড়ো যারা এমনি খেতে অপছন্দ করেন, তারা চালের সহযোগে এমন একটি রেসিপি বানিয়ে দেখতে পারেন। এটি অত্যন্ত সুস্বাদু একটি খাবার। তবে যারা ডায়েট করছেন, তাদের জন্য এটি একটি ঘুরপাক খাওয়া বটে। একদিনের জন্য নিয়ম ভেঙে খেয়ে দেখতে পারেন।

উপকরণঃ
১) রুই মাছের মাথা (২/৩)
২) পেঁয়াজ কুচি ও পেঁয়াজ বাটা
৩) জিরে বাটা
৪) আদাবাটা
৫) রসুন বাটা
৬) হলুদ গুঁড়ো
৭) লঙ্কাগুঁড়ো
৮) গোটা লঙ্কা (৫-১০)
৯) দারচিনি
১০) এলাচ
১১) নুন
১২) তেজপাতা
১৩) আলু টুকরো করে কাটা
১৪) তেল এবং ঘি
১৫) চিনি স্বাদমতো
১৬) মুগ ডাল

প্রণালীঃ মুগ ডাল চাল ধুয়ে এক ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপরে জল ভালো করে ঝরিয়ে নিতে হবে। কড়াইতে ঘি দিয়ে টুকরো করা আলু ভেজে নিয়ে তারপরে চাল এবং ডাল ভাজতে হবে। তারপরে কড়াইতে আর একটু তেল দিয়ে তেজপাতা, এলাচ, দারচিনি দিয়ে একটু ভেজে, তারপর আদা, রসুন, পেঁয়াজ ভালো করে ভেজে নিয়ে হলুদগুঁড়ো, জিরেগুঁড়ো, লঙ্কাগুঁড়ো প্রভৃতি গুঁড়ো মসলা দিয়ে কষিয়ে মাছের মুড়ো গুলি ভেঙে ভেঙে দিয়ে দিতে হবে। বেশ অনেকক্ষণ ধরে কষাতে হবে। এই কষানোর মধ্যে ভাজা চাল, ডাল, আলু সমস্ত দিয়ে জল দিয়ে ভরাট করে দিতে হবে। এইসময় স্বাদমতো নুন, মিষ্টি দিয়ে দিতে হবে। নামানোর আগে উপর থেকে ঘি দিয়ে পরিবেশন করুন গরম গরম মুড়িঘন্ট।

Related Articles