রুটির সঙ্গে খাওয়ার জন্য নিরামিষ তেল চিলি পটল বানানোর রেসিপি
রুটির সঙ্গে তরকারি মানে গরমকালে আলু, পটল, কুমড়ো, ঝিঙে এই ছাড়া আমাদের আর কোন উপায় থাকে না। কিন্তু রোজকারের পটলের তরকারিকেও কিভাবে একটু অন্যরকম ভাবে বানানো যায়, চলুন আজকে তার একটা ছোট্ট রেসিপি জেনে নিন। পটল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী। পেট ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। বাড়িতে যে সমস্ত বাচ্চারা পটল খেতে পছন্দ করেন না তাদের নিরামিষের দিনে অবশ্যই এই রেসিপিটি বানিয়ে দেখতে পারেন। একেবারে চেটেপুটে খাবে। তাছাড়া বাড়িতে অতিথি আপ্যায়ন করতে গেলেও রুটি, লুচি, পরোটা কিংবা নিরামিষ ফ্রাইড রাইস অথবা পোলাওয়ের সঙ্গে অবশ্যই পরিবেশন করতে পারেন এই অসাধারণ রেসিপি।
উপকরণ -»
পটলের(১০টা) খোসা সামান্য ছাড়িয়ে নিয়ে অর্ধেকটা করে কেটে নুন জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে।
তেল ১ কাপ
লঙ্কা বাটা ২ টেবিল চামচ
সেদ্ধ করা শুকনো লঙ্কা বাটা ২ টেবিল চামচ
গোটা জিরে ১ টেবিল চামচ
জিরে গুঁড়ো ১ টেবিল চামচ
দুটো বড়ো আকারের টমেটো বাটা
আদা বাটা ১ টেবিল চামচ
টকদই ১ টেবিল চামচ
কাজু বাটা ১ টেবিল চামচ
গরম মশলার গুঁড়া ১ চা চামচ
হলুদ গুঁড়ো ১ চা চামচ
নুন মিষ্টি স্বাদ মত
প্রণালী -»
কড়াইতে সরষের তেল গরম করে তাতে গোটা জিরে, শুকনো লঙ্কা ফোঁড়ন দিয়ে টমেটো বাটা দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হয়ে গেলে এক চিমটি হলুদ এবং সেদ্ধ করা শুকনো লঙ্কা বাটা এবং কাঁচা লঙ্কা বাটা, আদা বাটা দিয়ে দিতে হবে ভালো করে কষানো হয়ে গেলে জিরেগুঁড়ো, স্বাদমতো নুন মিষ্টি দিতে হবে। এরপরে টক দই, কাজুবাটা দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হয়ে গেলে পটল গুলি দিয়ে দিতে হবে। সামান্য উষ্ণ গরম জল দিয়ে ঢাকা দিয়ে রাখতে হবে। ঢাকা খুলে ওপরে সামান্য কাঁচা তেল ছড়িয়ে দিতে হবে। নামানোর আগে সামান্য গরম মশলার গুঁড়ো দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন ‘তেল চিলি পটল’।